করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুর সহ ৭ টি জেলায় দেওয়া হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ।
ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। যথাযথ কারণ দেখাতে না পারলে এসব চেকপোস্ট পাড়ি দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করা যাচ্ছে না। একারণে অনেকেই ঢাকায় প্রবেশের জন্য ভিন্ন কৌশল বেছে নিয়েছেন। তুরাগ নদীতে নৌকায় করে অনেকে পাড়ি জমাচ্ছেন ঢাকায়। শনিবার (২৬ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করছে সাধারণ মানুষ। টঙ্গী বাজার ঘাট থেকে উঠে আব্দুল্লাহপুর আইচি হাসপাতালের ঘাটে নৌকা ভিড়ছে। এরপর সেখান থেকে ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষজন প্রবেশ করছে। গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য টঙ্গী ব্রিজ হয়ে থাকায় প্রবেশ করতে হয়। টঙ্গী পুলিশের চেকপোস্টের বাধা ডিঙ্গাতে না পারায় টঙ্গী বাজারের মধ্যে দিয়ে ঘাটে ভিড়ছে ঢাকাগামী মানুষ।
টঙ্গী ওই ঘাটে দেখা যায় ১০-১২ টি নৌকা বাঁধা আছে। সিরিয়াল ধরে একের পর এক নৌকা ছেড়ে যাচ্ছে। নৌকার মাঝি তায়েব বলেন, এখানে আমরা স্থানীয় কিছু লোক ও যারা ভ্রমণের জন্য আসে তাদের নিয়ে ঘুরাতাম কিন্তু আজ লোকজন ঘাটে বেশি আসায় আমরা তাদের পার করে দিচ্ছি। প্রতিজন থেকে পারাপারের জন্য ২০ টাকা করে নিচ্ছি। স্থানীয় আরিচপুর এলাকার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন বলেন, আবদুল্লাহপুর আমাদের অনেক কাজ থাকে। টঙ্গী বাজার ঘুরে আবদুল্লাপুর যেতে বহু পথ ঘুরতে হয়। নৌকা ঘাট থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যাওয়া যায়। কিন্তু গতকাল হতে অপরিচিত অনেক লোক নৌকায় পারাপার করছে। শুনেছি তারা পুলিশি তল্লাশির কারণে এদিক দিয়ে যাচ্ছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের দুটি চেকপোস্টে কাজ অব্যাহত রয়েছে। তুরাগ নদ দিয়ে নৌকায় মানুষ পারাপারের বিষয়টি চেকপোস্টের আওতাভুক্ত নয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।